বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বিশ্বের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খান। আগের তালিকায় ১.১ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ নিয়ে তার নাম ছিল। তবে এবারের তালিকায় সিঙ্গাপুরের পেইন্ট প্রস্তুতকারী উদ্যোক্তা গোহ চেং লিয়াং (১৩ বিলিয়ন ডলার) স্থান পেয়েছেন। সিঙ্গাপুর দ্বৈত নাগরিকত্বের সুযোগ না দেওয়ায় আজিজ খান বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছিলেন।

ফোর্বসের 'ওয়ার্ল্ডস বিলিয়নিয়ারস লিস্ট ২০২৫' প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বিশ্বের ৭৮টি দেশ ও অঞ্চলের অন্তত একজন বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বজায় রয়েছে।

এই বছর প্রথম স্থানে রয়েছেন টেসলা ও এক্সের মালিক ইলন মাস্ক, যার মোট সম্পদ ৩৪২ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে মার্ক জাকারবার্গ (২১৬ বিলিয়ন ডলার), তৃতীয় স্থানে জেফ বেজোস (২১৫ বিলিয়ন ডলার), চতুর্থ স্থানে ল্যারি এলিসন (১৯২ বিলিয়ন ডলার) এবং পঞ্চম স্থানে বার্নার্ড আর্নল্ট (১৭৮ বিলিয়ন ডলার) ও তার পরিবার।

তালিকায় ৫০ জন বিলিয়নিয়ারের মধ্যে ২৭ জন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। নতুন করে তিনটি দেশ—আলবেনিয়া, পেরু ও সৌদি আরব—বিলিয়নিয়ার তালিকায় যোগ হয়েছে। সৌদি আরবের ১৪ জন নতুন বিলিয়নিয়ার হয়েছেন, তাদের মধ্যে সবচেয়ে ধনী প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল আলসৌদ (১৬.৫ বিলিয়ন ডলার)। পেরুর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হলেন এডুয়ার্দো হেশিল্ড (২.৪ বিলিয়ন ডলার), এবং আলবেনিয়ার প্রথম বিলিয়নিয়ার হিসেবে স্থান পেয়েছেন সামির মানে, যিনি দেশটির সবচেয়ে বড় সুপার মার্কেট চেইন প্রতিষ্ঠা করেছেন।

এ বছর বাংলাদেশ, পানামা ও উরুগুয়ে থেকে বিলিয়নিয়াররা বাদ পড়েছেন। বাংলাদেশের আজিজ খান, পানামার স্ট্যানলি মোত্তা ও উরুগুয়ের কয়েকজন ব্যক্তির সম্পদ কমে যাওয়ার কারণে তারা তালিকা থেকে বিদায় নিয়েছেন।

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বিলিয়নিয়ার থাকলেও, যুক্তরাষ্ট্র এখন শীর্ষে, যেখানে মোট ১,০৭৭ বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। ইউরোপ (৭৭২) এবং মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা (১২৭) অঞ্চলে পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে।